রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চলমান গবেষণা প্রকল্পসমূহের পরিচালকগণের ‘রিসার্চ প্রজেক্ট কমপ্লিশন সেমিনার’।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনব্যাপী আয়োজিত এই সেমিনারে মোট ৭৩টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন,“আমাদের গবেষণা প্রকল্প আজকের প্রদর্শনীর মাধ্যমেই এখানেই শেষ হবে না। এই শেষ যেন হয় নতুন যাত্রার শুরু। আজ বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা অনুধাবন করতে পারি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির জন্য গবেষণা কতটা দরকার আমাদের। আমরা গবেষণাগুলো এমন ভাবে করবো যেন দেশের মানুষের কাজে, সমাজের কাজে লাগাতে পারি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে গবেষণা ফলাফল যেন মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারি।”
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় শিক্ষক, গবেষণা প্রকল্প পরিচালকগণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারী গবেষকরা তাঁদের প্রকল্পের অগ্রগতি, প্রাপ্তি, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক জানান,“আজকের প্রজেক্টগুলো আমাদের রুয়েটব্যাপী সম্পন্ন হওয়া রিসার্চ প্রজেক্ট নিয়ে। এগুলা রুয়েট কে রিপ্রেজেন্ট করে। আজকে সারাদিন ব্যাপী মোট ৭৩টি প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন হবে, যেগুলো বিভিন্ন সেক্টর এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী আয়োজনে আমাদের লক্ষ্য থাকবে আরো বেশি রিসার্চ করা এবং সেগুলোর মানোন্নয়ন করা।”
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন,
“ইউনিভার্সিটি ডেভেলপমেন্ট এর সাথে ব্যাক্তিগত উন্নয়ন করতে রিসার্চ এর বিকল্প নেই। গবেষণা অনেক কিছুর উপরে হতে পারে, তবে আমাদের মনে রাখতে হবে জাতীয় উন্নয়নে অবশ্যই যেন অবদান রাখে।”
আয়োজক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, গতিশীলতা এবং মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত সমাধানগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পথ সুগম করবে বলেও মত দেন আলোচকরা।
উল্লেখ্য, রুয়েট প্রতিবছর গবেষণা খাতে উল্লেখযোগ্য অনুদান প্রদান করে থাকে। এই ধারাবাহিকতায় আয়োজিত আজকের সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাভিত্তিক অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে