
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালেই চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, “বিশ্বের সকল উন্নত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপাসনালয় রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় না হলে মানুষ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। শিক্ষা থেকে ধর্মকে আলাদা করলে ডাকাত ও মাস্তান তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। তবে পুরানো জাহেলি যুগ আর ফিরবে না।
ড. খালিদ বলেন, “দেশকে দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে হলে আল্লাহভীতিমানদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে। যাদের অন্তরে আল্লাহভীতি রয়েছে এবং চরিত্র ইস্পাতের মতো দৃঢ়, তাদেরই নির্বাচিত হতে হবে। ২০২৬ হোক বা ভবিষ্যতে, বাংলাদেশ আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য তরুণ ও যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।”
আন্দারকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম আযহারি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দীন কাদেরী, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, উম্মা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি আবুল কালাম আল আজাদ, আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা সুহাইল সালেহ এবং কোর্টহিল জামে মসজিদের খতিব শয়েখ নাসির উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার পরিচালক মুফতি মাসউদুর রহমান বক্তব্য দেন। পরে ড. খালিদ হোসেন ২০২৫ সালের হিফয বিভাগের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র বিতরণ করেন।