যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি পশ্চিমা পররাষ্ট্রনীতিতে কয়েক দশক ধরে অচলাবস্থার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে ধরা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে পুনরুজ্জীবিত করবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালও তাদের রাষ্ট্রনেতাদের মাধ্যমে এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণের দিকে অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য এই স্বীকৃতি অবরুদ্ধ গাজায় উদযাপিত হয়েছে। গাজার সাধারণ মানুষরা তা বিজয় হিসেবে দেখেছে, আর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে এই পদক্ষেপকে অভিহিত করেছেন। হামাস এই স্বীকৃতিকে “ইসরাইলের বিচ্ছিন্নতা” হিসেবে দেখেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বীকৃতিকে “সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে কোনও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হবে না।” নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপকে “প্রদর্শনমূলক” বলে নিন্দা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপগুলোকে সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, এটি “লোক দেখানো”। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, “আমাদের অগ্রাধিকার হলো জিম্মিদের মুক্তি, ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি, যা কেবল হামাসকে পরাজিত করার মাধ্যমে সম্ভব।”
জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই পদক্ষেপগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন আশা ও সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।