টিউলিপসহ মুসলিম এমপিদের ভোটে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি কুবিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও সদস্য ফরম বিতরণ নিউইয়র্কের তরুণ মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি: এক বছরে অচেনা মুখ থেকে বৈশ্বিক প্রভাবের কেন্দ্রে

টিউলিপসহ মুসলিম এমপিদের ভোটে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নিষিদ্ধ

সালমান বক্স, ইউরোপ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭৭ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদ সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাস হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটির পক্ষে ৩৮৫ জন এমপি এবং বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র ২৬ জন। প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই লেবার এমপি—রুশনারা আলী ও রোজিনা এলিন খান।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ যুক্তরাজ্যে ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি সংগঠনটি একটি সামরিক ঘাঁটির দুইটি বিমানে লাল রঙ ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানায়, যা দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সংগঠনটি আইনি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জানিয়েছে, তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে তাদের কর্মীরা ব্রিস্টল ও সাফোকের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্বতন্ত্র এমপি জারা সুলতানা এই নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করে বলেন,“একটি রঙের স্প্রে ক্যানকে আত্মঘাতী বোমার সঙ্গে তুলনা করা আইন বিকৃতির এক ভয়াবহ উদাহরণ।”

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ একে “আইনের নজিরবিহীন অপব্যবহার” বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সরকার প্রতিবাদ, বাক-স্বাধীনতা এবং নজরদারির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের একাধিক বিশেষজ্ঞও এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন,“যদি কোনো কর্মের উদ্দেশ্য সহিংসতা না হয়, তাহলে শুধুমাত্র সম্পত্তি ক্ষতিকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।”

তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াভেট কুপার এক বক্তব্যে বলেন,“জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি থাকা প্রয়োজন। সহিংসতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।”

এই প্রস্তাবকে ঘিরে যুক্তরাজ্যে নতুন করে মানবাধিকার, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে সরকারি নীতির পর্যালোচনার দাবি উঠেছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT