২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায়। ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রতিদিনের পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
নকলমুক্ত, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে গণআন্দোলনে আহত অনেক শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকক্ষে বসে পরীক্ষা দিতে অক্ষম, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে—প্রয়োজন অনুযায়ী সেই শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যে নির্দেশনাগুলো মানতে হবে:
১. পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছে নিজ আসনে বসতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
৩. প্রথমে এমসিকিউ এবং পরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, এর মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার কমপক্ষে তিন দিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হবে।
৬. পরীক্ষার OMR ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে; উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. সকল অংশ—লিখিত, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
৮. শুধুমাত্র নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে; অন্য কোনো বিষয়ের পরীক্ষা দেয়া যাবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থী তার নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে পারবে না; স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন নির্ধারণ করতে হবে।
১০. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
১২. সব অংশে (লিখিত, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক) উপস্থিতির জন্য একটিই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ কেন্দ্রে বা নির্ধারিত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।