
খুলনা (১ নভেম্বর): দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর খুলনায় চালু হয়েছে আধুনিক নতুন জেলা কারাগার। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে প্রাথমিকভাবে ১০০ বন্দিকে স্থানান্তরের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। এ সময় কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় কয়েদি স্থানান্তর কার্যক্রম, যা পর্যায়ক্রমে জেলার ৯ উপজেলার বন্দিদের অন্তর্ভুক্ত করবে। খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিরা থাকবেন পুরাতন কারাগারেই।
জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ১০০ বন্দি নিয়ে নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ২৫ অক্টোবর উদ্বোধনের কথা থাকলেও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো।”
ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত ১৯১২ সালে নির্মিত পুরাতন কারাগারটি খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। মাত্র ৬৭৮ জন বন্দি ধারণক্ষমতার সেই স্থাপনার পরিবর্তে নতুন কারাগারটি নির্মিত হয়েছে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কের জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর, ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে।
নতুন এই জেলা কারাগারে রয়েছে ৫২টি আধুনিক অবকাঠামো, যেখানে একসঙ্গে ৪ হাজার বন্দি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট ছাড়াও নারী ও কিশোর বন্দিদের জন্য আলাদা ভবন রয়েছে।
কারাগার প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়েছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে- কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিশেষ বিনোদনকেন্দ্র।