কেনিয়ার ইয়াতিমখানায় এক টুকরো রুটির জন্যও কৃতজ্ঞতা, আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর শিক্ষা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

কেনিয়ার ইয়াতিমখানায় এক টুকরো রুটির জন্যও কৃতজ্ঞতা, আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৮ বার দেখা হয়েছে

বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ একটি ফেসবুক পোস্টে নিজের জীবনের এক গভীর শিক্ষা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, কেনিয়ার মুম্বাসায় একটি ইয়াতিমখানা মাদরাসায় যাওয়ার সময় তিনি মাত্র ৬৪ জন ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে শিশুদের মাসিক খাবারের পুরো খরচ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এই তথ্য জানার পরই তাঁর বুক ধক করে উঠেছিল।

তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, ইয়াতিমখানার দুপুরের খাবার সীমিত, সাধারণত দুই-তিন স্লাইস পাউরুটি আর পানি। রাতে কখনো ভুট্টার আটার ঘাটি, কখনো শুকনো পাউরুটি বা চিনির পানি বা রঙ চা। অনেক দিনই এমন খাবারও পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তবুও, শিশুরা যা আছে তাই খেয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করে।

রাতের এশার সালাত আদায় করতে তিনি মুম্বাসার আরেকটি প্রতিষ্ঠান “মারকাজে ইমাম শাফেয়ী রহ.”-এ গিয়েছিলেন। সেখানে রাতের খাবারের দৃশ্য দেখে আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর চোখ ভিজে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে অভাবী মানুষের খাবারও এই কিশোরদের কাছে যেন বিলাসিতার মতো। উস্তাদের অনুমতি ছাড়া ছবি বা ভিডিও করা নিষেধ থাকলেও, ছাত্ররা তিলাওয়াত শুনতে দাড়িয়ে থাকে।

তিনি দেশের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। হাজারো স্মার্টফোন, দামী জামাকাপড় ও বিলাসী খাবারের মাঝে অনেক সময় আমরা খাবার অপচয় করি, অথচ মুম্বাসার কিশোর হাফেজরা শুকনো এক টুকরো রুটির জন্যও আনন্দে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানায়। আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমাদের শিশুদের জন্য আমরা চকোলেট, পিৎজা, বিরিয়ানি, দামী স্কুলের ব্যবস্থা করি, কিন্তু দ্বীনি শিক্ষা নিয়ে উদাসীন থাকি। সেখানে শিশুদের চোখে দেখা যায় দুনিয়ার নির্লিপ্ততা আর মুখে কৃতজ্ঞতার হাসি।

মুম্বাসা থেকে তিনি একটি বড় শিক্ষা নিয়েছেন: আরাম নয়, কৃতজ্ঞতাই প্রকৃত সুখ। দেখানো নয়, সংযম আর দানই আসল মহত্ত্ব। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমাদের জীবনে কতবার আমরা শুধুমাত্র পানি আর পাউরুটি খেয়ে দিন কাটাই?

এই অভিজ্ঞতা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর চোখে এক টুকরো রুটির মূল্য এবং সংযম ও কৃতজ্ঞতার বাস্তব শিক্ষা ফুটিয়ে তোলে, যা আমাদের সমাজের মানসিকতা ও জীবনধারার প্রতিফলন ঘটায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT