” রাখাল রাহার প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই ” নামে ফেসবুকে ইভেন্ট খোলা হয়েছে। নুর মোহাম্মদ নামের এক ফেসবুক ইউজারের ২০ ফেব্রুয়ারিতে খোলা এই ( রাখাল রাহার প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই ) ইভেন্ট চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। আল্লাহকে নিয়ে অশালীন ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদে সম্প্রতি সাধারণ মুসলিম জনতা তাকে জুতা মারা কর্মসূচী পালন করতে না করতেই এই ইভেন্ট খোলা হলো। ইভেন্ট খোলার সাথে সাথে ফেসবুক ইউজাররা ব্যপক উৎসাহ নিয়ে এখানে যোগ দিতে থাকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত.১৬ হাজারের অধিক ইউজার ইন্টারেস্টেড ও ৩১৩ জন গোয়িং অপশন সিলেক্ট করেছে। ইসলামী জগতের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা মনে করছেন, যতদিন পর্যন্ত দেশে ব্লাসফেমি আইন চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত এরকম করে মুসলিম জনতার ধর্মীয় আবেগের সুযোগ নিয়ে একের পর এক সুবিধাবাদী নাস্তিক ইসলামকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে থাকবে।
উল্লেখ্য, রাখাল রাহার আসল নাম সাজ্জাদুর রহমান। কিন্তু তিনি নিজেকে ফেসবুকে ‘নিধর্মী’ পরিচয় দিয়ে থাকেন। পতিত হাসিনা সরকারের সময় শিক্ষা ও সিলেবাস বিষয়ে কিছু আলোচনা ও সেমিনার করে তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন এবং হাসিনার পলায়নের পর অন্তর্বতী সরকার তাকে এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক কমিটির সদস্য নির্বাচিত করে। শিক্ষা-গবেষণা নিয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। এই পদ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিতে থাকেন রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান। চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার নিয়ে তুলকালাম অবস্থার সৃষ্টি হয়। গত ১২ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামে একটি সংগঠন। এতে আন্দোলন-পাল্টা আন্দোলনের মুখে যে হতাহতের ঘটনা ঘটে সেটির মূল হোতা হিসেবেও রাখাল রাহার নাম উঠে আসে।
Follow Us On Facebook Page