
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিসুরী এলাকায় দুধকুমার নদ থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ কার্যক্রমে নদীতীরবর্তী মানুষের জীবন-জমি ঝুঁকির মুখে পড়লেও মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বটতলা বাজার–ওয়াপদা বাঁধ থেকে শুরু করে টেংগরমারী সীমান্ত–ভাটি দিকদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২ হাজার ৩১০ মিটার কাঁচা সড়ক সংস্কার প্রকল্প চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে ৯৯ লাখ ৪ হাজার ১৭১ টাকা ব্যয়ে আরডিআরএসের ডিআরআর-আরআরএপি প্রকল্পের অধীনে কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কিন্তু প্রকল্পটি অন্য উপজেলায় হলেও প্রয়োজনীয় বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল নাগেশ্বরীর দুধকুমার নদ থেকে, যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এবং সংশোধিত ২০২৩ সালের বিধানের সরাসরি লঙ্ঘন। এ অবস্থায় এলাকার জমির মালিকরা গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ২ ডিসেম্বর এসিল্যান্ড বদরুজ্জামান রিশাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম, আব্দুল হামিদ, আসাদুল, নুর জামাল ও আমিনুল ইসলাম জানান, দুধকুমার নদ বরাবরই ভয়াবহ তীরভাঙনের জন্য পরিচিত। প্রতিবছর বহু পরিবার ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে হারায়। এরমধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় ভাঙন আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তফসিলভুক্ত জমি ও সরকারি আবাসন প্রকল্পও হুমকির মুখে পড়ে। প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধ করায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনুর জামান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।