ভোলার চরফ্যাশনে ইউএনও মিথির বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

ভোলার চরফ্যাশনে ইউএনও মিথির বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৯ বার দেখা হয়েছে

ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথির বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম, টেন্ডার জালিয়াতি ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে মার্কেট, সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে টেন্ডার কারসাজি এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ নিয়ে অর্থ লুটপাট করছেন।

ইতোমধ্যেই নির্মিত মার্কেট ও সড়কের নামে নতুন টেন্ডার

স্থানীয়দের অভিযোগ, চরফ্যাশন পূর্ববাজার সোনালী পুকুরপাড়ে আওয়ামী লীগ আমলে একটি মার্কেট নির্মিত হয়। ঘরগুলোতে বর্তমানে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করছেন। অথচ ইউএনও মিথি একে নতুন প্রকল্প দেখিয়ে ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কিচেন মার্কেট নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেন। একইভাবে, চরফ্যাশনের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পেশকার বাড়ি জামে মসজিদের সড়কটিও আগেই নির্মিত হয়েছিল, তবুও নতুন করে আবার ৩ লাখ টাকার টেন্ডার প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মুসল্লিরা প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে নির্মাণ আগেই সম্পন্ন, সেখানে আবার নতুন টেন্ডারের প্রয়োজন কী?

অস্তিত্বহীন প্রকল্পের নামে কোটি টাকার বরাদ্দ

এছাড়া চরফ্যাশন শিল্পকলা একাডেমির জন্য বাদ্যযন্ত্র ও সাউন্ড সিস্টেম কেনার নামে ৬ লাখ টাকা এবং চরফ্যাশন মডেল মসজিদের মাদুর কেনার নামে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব সামগ্রী কখনো সরবরাহ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। মডেল মসজিদের খতিব সরাসরি জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো বরাদ্দ পাননি।

রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশাসনিক প্রভাব

বিএনপি ও জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইউএনও মিথি স্থানীয় আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেন। অতীতে হাটবাজার ইজারা, কাবিখা, কাবিটা, টিআর প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। তাদের দাবি, জেলা পরিষদ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ভুয়া প্রকল্পের নামে কাগজে-কলমে ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বাস্তবে সেসব কাজ হয়নি।

তারা আরও অভিযোগ করেন, ইউএনও মিথির স্বামী রেজাউল করিম বাধন একই উপজেলার সিনিয়র সহকারী জজ হওয়ায় স্থানীয়রা ভয় ও চাপে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। তার রাজনৈতিক অতীতও বিতর্কিত, কারণ তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়।

ইউএনওর বক্তব্য

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি বলেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। মার্কেট ও রাস্তা নির্মাণ নতুনভাবে করার পরিকল্পনা আছে, আর বর্তমান স্থানে জায়গা না থাকলে পৌরসভার অন্য জায়গায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলেও জানান।

জনমনে ক্ষোভ

চরফ্যাশনের সচেতন মহল বলছে, দৃশ্যমান এত অনিয়ম-দুর্নীতি ও টেন্ডার কারসাজির পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনিক পদ ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ইউএনও মিথি দীর্ঘদিন ধরে একনায়কতান্ত্রিকভাবে পৌরসভা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT