বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন যে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা শেখ হাসিনা নয়, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ধ্বংস করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রথম ভুয়া নির্বাচন এবং ব্যালট বাক্স জালিয়াতির সূচনা হয়েছিল শেখ মুজিবের হাত ধরেই।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদু বলেন, শেখ মুজিবই দেশের প্রথম ভোট চোর এবং তাঁর অনুপ্রেরণাতেই শেখ কামাল প্রথম ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটান। এ ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনাও একই ধারা অনুসরণ করে ব্যাংক লুটপাট ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও দাবি করেন, গত ১৫ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি গণহত্যা ও ব্যাংক লুটের দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। তাঁকে যেকোনোভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম নির্বাচনকে জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষাকবচ উল্লেখ করে বলেন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতিকে ‘পেয়ার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে কেবল ভাগবাটোয়ারা ও সমঝোতার নির্বাচন হবে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. মো. এমতাজ হোসেন অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামী একদিকে পিআর ভিত্তিক নির্বাচনের পক্ষে কথা বলছে, অন্যদিকে তারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রচারণা চালাচ্ছে—এটিকে তিনি ভণ্ডামি (মোনাফেকি) হিসেবে অভিহিত করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির সভাপতি মো. সুজাউদ্দৌলা। আরও বক্তব্য দেন জনতা ব্যাংকের পরিচালক মো. ওবায়দুল হক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ও ড. মো. ফজলুল হক প্রমুখ।