বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কারিগরি দল বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।
পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন ছাড়াও ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরীসহ মোট ১৪টি নদীর পানি বণ্টন আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ চায়, উভয় দেশ আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে এসব নদীর পানি ব্যবহার করুক।
১৯৭২ সালের মার্চে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে জেআরসি গঠিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন নদীগুলোর যৌথ জরিপ পরিচালনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থা গড়ে তোলা। একই সঙ্গে পানিসম্পদের ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করাও এর অন্তর্ভুক্ত।
১৯৯৬ সালের পদ্মা চুক্তির পর প্রতি বছর তিনবার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৯ বছরে কমিশন মোট ৮৭টি বৈঠক করেছে, যার কিছু মহামারির সময়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের দিল্লি বৈঠক হবে কমিশনের ৮৮তম অধিবেশন। চলতি বছর এটি তৃতীয় বৈঠক। এর আগে মার্চে কলকাতায় ও মে মাসে ঢাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে।