বাংলাদেশ সরকার নতুন একটি ডিজিটাল উদ্যোগের মাধ্যমে বিদেশে সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করার সুবিধা চালু করেছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য সনদ যাচাই করতে দূতাবাস এবং বিভিন্ন অফিসে বহুবার যেতে হতো, সেখানে এখন ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এই অনলাইন অ্যাপোস্টিল সিস্টেমে QR কোডের মাধ্যমে সনদ যাচাই করা যাবে, যা ভুয়া সনদের ব্যবহার প্রতিরোধ করবে এবং প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে। আগের মতো ফিজিক্যাল যাচাইয়ের কারণে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীরা বারবার দূতাবাসে সময় ও অর্থ ব্যয় করতেন, যা এখন সনদের ডিজিটাল যাচাইয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সাশ্রয় নিশ্চিত করবে।
এই নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং বিদেশগামী কর্মীদের জন্য অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ ১৯৬১ সালের অ্যাপোস্টিল কনভেনশনে যোগদানের মাধ্যমে ১২৭টি দেশ এই সার্টিফিকেটকে বৈধ হিসেবে গ্রহণ করবে। ফলে শিক্ষার্থী বা কর্মী যেকোনো দেশেই সহজেই তাদের শিক্ষাগত বা পেশাগত সনদ যাচাই করতে পারবে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই নতুন অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে যাচাই প্রক্রিয়ায় কম সময়, কম খরচ এবং ঝামেলা-মুক্ত অভিজ্ঞতা পাবেন। আগের মতো নানা অফিসে দৌড়ঝাঁপের পরিবর্তে এখন একমাত্র অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের এই ডিজিটাল রূপান্তর বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি শুধু তাদের আন্তর্জাতিক সুযোগ গ্রহণকে সহজ করবে না, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সনদ যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও বাড়াবে।