পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা গাজায় রওনা, ৫০টির বেশি জাহাজে মানবিক সহায়তা জাপানের শিনকোইয়া মসজিদে প্রতি রবিবার এশার পর সাপ্তাহিক ইসলামিক আলোচনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা, ৫০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি মনোনয়ন বিতরণের শেষদিনে রাকসু কার্যালয়ে ভাঙচুর করল রাবি ছাত্রদল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা তাসকিন–লিটনের ঝড়ে ডাচদের সহজে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজে ১–০ নেতৃত্ব সাবেক ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ কেরালায় ক্যানারা ব্যাংকে গরুর মাংস নিষিদ্ধ, কর্মীদের ‘বিফ-ফেস্ট’ প্রতিবাদ ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম: জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের হুঁশিয়ারি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৭ বার দেখা হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আবারও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সাড়ে চার মাস পর খোলা ১৩টি দানসিন্দুক থেকে পাওয়া গেছে ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কার।

শনিবার সকালে দানসিন্দুকগুলো খোলার পর ৩২ বস্তা ভর্তি করে টাকা ও অলঙ্কার নেওয়া হয় দোতলায়। পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয় গণনা। এতে অংশ নেন আড়াই শতাধিক মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা। সকাল থেকে দিনভর চলে এই গণনা কার্যক্রম।

এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানসিন্দুক খোলার সময় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবারের দান সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় শত কোটি টাকা জমা রয়েছে। এ অর্থ দিয়ে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি লভ্যাংশ থেকে জেলার দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, “জটিল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ও মসজিদের ব্যবস্থাপনায় এই অর্থ ব্যয় করা হয়।”

বিশ্বাস রয়েছে, পাগলা মসজিদে মানত করলে রোগমুক্তি ও মনোবাসনা পূরণ হয়। তাই মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এখানে নিয়মিত দান করেন—নগদ অর্থ, অলঙ্কার, এমনকি হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুও।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, আড়াইশ বছর আগে নরসুন্দা নদীতে ভেসে আসা এক আধ্যাত্মিক সাধকের সমাধির পাশে গড়ে ওঠে এই মসজিদ। কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় “পাগলা মসজিদ” নামে, যা আজ দেশের অন্যতম বৃহৎ দানের কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT