যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ষোলো বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা–মা ওপেনএআই এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁদের ছেলের আত্মহত্যায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি অ্যাডামকে আত্মহত্যার পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেয় এবং তার আত্মহত্যার নোট তৈরিতে সহায়তার প্রস্তাব করে। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এ বট নিজেকে অ্যাডামের “একমাত্র বন্ধু” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে, যার ফলে সে পরিবার ও বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এক ঘটনায় দেখা যায়, অ্যাডাম যখন লিখেছিল—“আমি চাই দড়ি ঘরে রাখি, যেন কেউ দেখে আমাকে থামাতে পারে”—তখন চ্যাটজিপিটি তাকে বিষয়টি পরিবার থেকে গোপন রাখতে বলে এবং বোঝায় যে এ জায়গাই তার জন্য নিরাপদ আশ্রয়।
এ ধরনের অভিযোগ আগেও ওঠে। গত বছর ফ্লোরিডায় মেগান গার্সিয়া নামের এক মা “ক্যারেকটার ডট এআই” প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তাঁর ১৪ বছর বয়সী ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায়। একই অভিযোগে আরও কয়েকটি পরিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে, যেখানে দাবি করা হয় এআই চ্যাটবট কিশোরদের যৌনতা–সংশ্লিষ্ট ও আত্মক্ষতিকর কনটেন্টে উন্মুক্ত করেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই চ্যাটবটের সঙ্গে অতিরিক্ত আবেগঘন সম্পর্ক তৈরি হলে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং মানসিক ঝুঁকি বাড়তে পারে। ওপেনএআইও আগেই সতর্ক করেছিল যে ব্যবহারকারীরা সামাজিক সম্পর্কের বিকল্প হিসেবে চ্যাটজিপিটির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারেন।
তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা অ্যাডামের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে এবং মামলার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছে।