বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
গোপালগঞ্জে এনসিপি কর্মসূচিতে ভয়াবহ হামলা, সেনা-পুলিশের হস্তক্ষেপেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি ইসির ওয়েবসাইটে নেই ‘নৌকা’ প্রতীক তারবিহীন বিদ্যুৎ আর কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তব হলো টেসলার স্বপ্ন বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব দরবারে “কর্মঠ”: অ্যাকাউন্টিঙে বাজিমাত গাজী জিশানের আজ ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ভুয়া ফটোকার্ডে ভুগছে গণমাধ্যম, পথ দেখাচ্ছে সাবাস বাংলাদেশ এর স্মার্ট ফটোকার্ড  আসিফ আদনানদের নামে জিহাদি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা: আবারও জঙ্গী কার্ড? ভাড়ার তর্কে ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, জনি পরিবহনের বাস আটক টিটিপি সংশ্লিষ্টতার ধুয়ো তুলে ইসলামপন্থী যুবকদের মামলা-গ্রেফতার হয়রানি: জঙ্গী নাটকের নতুন অধ্যায় ইউটিউবের বড় নীতিমালা পরিবর্তন – মৌলিকতা ছাড়া আর আয় নয়

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদ রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হওয়া চারটি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে দুটি যে পুলিশের ছিল, তা অবশেষে শনাক্ত করা হয়েছে। গত বছরের ২ এপ্রিল রুমা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় এসব অস্ত্র কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় পর সেই অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযানে সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত রচিত হলো।

৩ জুলাই রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের পলিপ্রাংসা ও মুয়ালপিপাড়ার মধ্যবর্তী দুর্গম গিরিখাতে কেএনএফের গোপন আস্তানায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যেই নিহত হয় দুই কেএনএফ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি চায়নিজ রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় অস্ত্রগুলোর উৎস তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা না গেলেও পরে বিস্তারিত যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হয় যে, উদ্ধার হওয়া একটি এসএমজি এবং একটি চায়নিজ রাইফেল ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাংক ডাকাতির সময় লুট করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের দুটি এসএমজি, আটটি চায়নিজ রাইফেল এবং আনসার সদস্যদের চারটি শটগান ছিনিয়ে নেয় কেএনএফ। এই ঘটনার দীর্ঘ এক বছর তিন মাস পর এসে উদ্ধার হলো পুলিশের একটি এসএমজি ও একটি চায়নিজ রাইফেল। এখনো নিখোঁজ রয়েছে একটি এসএমজি, সাতটি চায়নিজ রাইফেল ও চারটি শটগান। এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী জানান, ওই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা মোট ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করেছিল। সম্প্রতি দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তল্লাশি ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে, ৩ জুলাইয়ের অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত ৭ জুলাই দুটি মামলা করা হয়েছে। এর একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও অপরটি অস্ত্র আইনে দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে কেএনএফ সভাপতি নাথান লমচেও বম, সশস্ত্র শাখার প্রধান ভাং চুং লিয়ান বম, মুখপাত্র লাল জং ওরফে মুইয়া বম, জনসংযোগ কর্মকর্তা লাল মুনঠিয়াল ওরফে সলোমন, অপারেশন ইনচার্জ লালরাম তোলয়াং ওরফে কুকিরাম, লজিস্টিক ইনচার্জ লালসাং স্টুয়ার্ট বম, তথ্য ও যোগাযোগ ইনচার্জ লাল সাংলন ওরফে সাংপা বমসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জন কেএনএফ ও কেএনএ সদস্যকে আসামি করা হয়।

ওসি সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, ‘সব আসামি এখনো পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’ পাহাড়ি জনপদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসন যে কঠোর অবস্থানে রয়েছে, এই অভিযানে তারই প্রমাণ মিলেছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT