দরুদ শরিফ পাঠ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ শুধু পুণ্যের কাজই নয়, বরং এর মাধ্যমে মুমিন মুসলমান নানাবিধ দুনিয়াবি ও আখিরাতের ফজিলত লাভ করে থাকেন। নিচে দরুদ পাঠের ১০টি ফজিলত তুলে ধরা হলো—
১. আল্লাহর রহমত লাভ:
যে ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করে, তার ওপর আল্লাহ নিজে দশটি রহমত বর্ষণ করেন।
(সহীহ মুসলিম)
২. গুনাহ মাফ হয়:
প্রত্যেক দরুদ পাঠে দশটি সওয়াব লেখা হয় এবং দশটি গুনাহ মাফ করা হয়।
(তিরমিজি)
৩. দোয়া কবুল হয়:
রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা যখন দোয়া করো, তার আগে ও পরে আমার ওপর দরুদ পাঠ করো, তাহলে তোমার দোয়া কবুল হবে।”
(তিরমিজি)
৪. মহানবীর (সা.) নৈকট্য লাভ:
কেয়ামতের দিন যিনি বেশি দরুদ পাঠ করবেন, তিনি হবেন রাসূলের সবচেয়ে নিকটবর্তী।
(তিরমিজি)
৫. ফেরেশতারা দোয়া করেন:
যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে, তার জন্য ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করতে থাকেন।
(আহমদ)
৬. মুনাফিকি দূর হয়:
দরুদ শরিফ পাঠ মুমিনের আলামত। এটি অন্তর থেকে মুনাফিকির প্রভাব দূর করে।
৭. হাশরের দিনে সুপারিশ লাভ:
প্রচুর দরুদ পাঠকারী ব্যক্তির জন্য রাসূল (সা.) হাশরের দিন সুপারিশ করবেন।
৮. রুহানি প্রশান্তি ও বরকত আসে:
দরুদ শরিফ পাঠে অন্তরে প্রশান্তি আসে এবং জীবনে বরকত নেমে আসে।
৯. জীবনের দুশ্চিন্তা দূর হয়:
নিয়মিত দরুদ পাঠ করলে দুনিয়ার দুশ্চিন্তা ও সমস্যাগুলো লাঘব হয়।
(দারেমি)
১০. আখিরাতে উঁচু মর্যাদা লাভ:
যে ব্যক্তি বেশি দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আখিরাতে উচ্চ মর্যাদা দিবেন।