নিয়োগে নেই সুপারিশের প্রভাব, নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ইসরায়েলকে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের গাইডেড বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক চাঁদে নয়, ক্যামেরার সামনে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশন নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে এগিয়ে থাকা মামদানি এখন ইসলামবিদ্বেষের শিকার! ফেসবুকের মেটা ও টিকটক মামলার মুখে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে: রুমিন ফারহানা আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ইউরোপীয় ফুটবলের অধ্যায় শেষ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত লিবিয়ার উপকূলে ২৮ বাংলাদেশি আটক ইউরোপজুড়ে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

নিয়োগে নেই সুপারিশের প্রভাব, নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে
Photo Credit: Ashraful Islam Shimul

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগে এসেছে ব্যতিক্রমী স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের ছাপ। নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক নয়—এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে পদ্ধতি ও নীতিনিষ্ঠতা।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. রেজোয়ানুল হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে নিয়োগপ্রক্রিয়ার নানা দিক ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চার ধাপের নিয়োগ: স্বচ্ছতা প্রমাণে পদ্ধতিগত অগ্রগতি

ড. রেজোয়ানুল হকের ভাষায়, নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় প্রার্থীদের একাডেমিক রেকর্ড—অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি, গবেষণা প্রবন্ধ ও পেটেন্ট—মূল্যায়নের মাধ্যমে।

এরপর নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা, যেটি ‘কোডিং’ পদ্ধতিতে নেওয়া হয়—পরীক্ষকরা জানতেন না কোন খাতা কার।

লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও একাডেমিক স্কোর মিলিয়ে যাঁরা এগিয়ে ছিলেন, তাঁদের ডাকা হয় প্রেজেন্টেশন ও ভাইভা বোর্ডে। সব ধাপ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুয়েট থেকে প্রকৌশলী, নিয়োগেও কোনো ছাড় নয়

শুধু শিক্ষক নয়, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের নিয়োগেও এই কঠোর মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়েছে। দুইজন প্রকৌশলী নিয়োগ পেয়েছেন, যাঁরা উভয়েই বুয়েট থেকে গ্র্যাজুয়েট।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, বোর্ডের একজন সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, “এত মেধাবী লোকজন এখানে টিকে থাকবেন তো?”
উত্তরে ড. হক লেখেন, “তিন মাস থাকলেও এই মেধাবীরা প্রতিষ্ঠানকে কিছু দিয়ে যাবেন। অথর্ব লোকজন ত্রিশ বছর থেকেও কিছু দিতে পারে না।”

অতীতের অনিয়মের ছায়া

পোস্টে তিনি পুরনো পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আগে ভাইভার আগের রাতে ঠিক করা হতো, কারা চাকরি পাবে। রাজনৈতিক প্রভাব, পোস্ট ভাগাভাগি এসবই ছিল বাস্তবতা।”

তিনি যোগ করেন, “সত্ বোর্ড মেম্বারদের কারণে তখনও অনেক ব্রিলিয়ান্ট লোক নিয়োগ পেতেন, কিন্তু সিস্টেমটা ছিল একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

আত্মপ্রচার নয়, গুণগত পরিবর্তনের বার্তা

নিজের এই উদ্যোগকে শতভাগ নিখুঁত বলতে না চাইলেও ড. রেজোয়ানুল হক এটিকে “মন্দের মধ্যে ভালো” বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি লেখেন, “লিখিত পরীক্ষার পক্ষে নই, তবে আপাতত এটি সেরা বিকল্প। ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।”

উচ্চমানের স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠার প্রয়াস

পোস্টের শেষাংশে তিনি লেখেন, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ড যদি দুর্বল হয়, জাতি এগোবে না। নিয়োগে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারা ছিল আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে—আলহামদুলিল্লাহ।”

ড. রেজোয়ানুল হকের এই পোস্ট ও উদ্যোগ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট মহল।

তথ্যসূত্র:
এই প্রতিবেদনটি প্রণীত হয়েছে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ড. রেজোয়ানুল হক-এর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্ট অবলম্বনে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT