২৫ জুন ২০২৫
এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী, মাদ্রাসা বোর্ডে (আলিম) প্রায় ৮৬ হাজার এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮২ হাজার। ২০২৪ সালে অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে ও পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সব কোচিং সেন্টার।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জন্য জারি করা ১০টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে— পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো, ওএমআর শিটে নির্ভুলভাবে তথ্য লেখা, উত্তরপত্র না ভাঁজ করা, নির্ধারিত সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার, এমসিকিউ ও লিখিত অংশের মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ, পৃথকভাবে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং নির্ধারিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে— প্রতি ২০ পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক, তিন ফুট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা, প্রশ্নপত্র যাচাই করে আগেভাগে খামে সংরক্ষণ, পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সেট অনুযায়ী খাম খোলা ও অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠানো।
পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সচেতনতামূলক মাইকিং, নকলবিরোধী পোস্টার লাগানো এবং শুধু এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলায় স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানান, “সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।”
এবার স্বাস্থ্যবিধির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সরকার সার্বিক প্রস্তুতি আরও জোরালো করেছে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।