ভারতে গাযার জন্য অনুদান সংগ্রহে মুসলিম যুবককে পুলিশের হয়রানি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল রাশিয়ার উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতায় কাঁপছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যে বিমানে মুসলমান সেজে ‘জঙ্গী’ হবার চেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুর! ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, ছয় কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অভিবাসন আইন-২৫ অনুমোদন স্থগিত করে আদালতে পাঠালেন ফার্মগেটে বিআরটিসি দোতলা বাসের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে ধাক্কা সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ঠেলে দিলো!—মালদার যুবক আমিরের কান্না, বাবার আকুতি ভাইরাল

ভারতে গাযার জন্য অনুদান সংগ্রহে মুসলিম যুবককে পুলিশের হয়রানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে
ভারতে মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে, ছবি: এআই জেনারেটেড
ভারতে মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে, ছবি: এআই জেনারেটেড

ভারতে গাযার নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সাহায্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের রোষানলে পড়েছেন এক মসজিদের ইমাম। উত্তর প্রদেশের বিজনোর জেলায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একটি মানবিক উদ্যোগকে অপরাধ হিসেবে দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুসলিম মিরর নামক এক ভারতীয় গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিজনোর জেলার শেরকোট শহরের জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকি। তার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার সময় অনুদান দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে ‘ফতোয়া’ দিয়ে ভয় দেখাচ্ছিলেন। পুলিশ দাবি করছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েই তারা মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।

তবে ইমাম মাওলানা জাকি এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কাউকে অনুদান দেওয়ার জন্য জোর করা বা হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সময়মতো পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন।

যদিও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী স্থানীয়দের অভিযোগে এই মামলা, সরেজমিন চিত্র পাওয়া গেছে ঠিক তার বিপরীত। স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় এই ঘটনাকে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন প্রাদেশিক সরকারের মুসলিম-বিরোধী হয়রানি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈষম্যের আরও একটি উদাহরণ হিসেবে দেখছে।

আশ্চর্যজনকভাবে, ইমামের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রতিবেশীরাও। তাদের মতে, বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন প্রায়ই নানা অজুহাতে অনুদান সংগ্রহ করে, এমনকি অনেক সময় অনুদান দিতে একরকম বাধ্যও করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কখনও এমন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “যেখানে ভারত সরকারসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করছে, সেখানে গাযার জন্য একটি মানবিক সাহায্য সংগ্রহের উদ্যোগ কীভাবে অপরাধ হতে পারে?”

স্থানীয়দের অভিযোগ, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর চাপেই পুলিশ এই মামলা সাজিয়েছে। এটি রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেছে বেছে ব্যবস্থা নেওয়ার চলমান কৌশলেরই একটি অংশ। এর আগেও ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া বা ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

এই মামলাটি স্থানীয় মুসলিম সমাজে এক ধরনের শীতল আতঙ্ক তৈরি করেছে। যারা এতদিন গোপনে তাদের সীমিত সামর্থ্য থেকে গাযার জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছিলেন, তারাও এখন একই ধরনের প্রশাসনিক হয়রানির আতংকে আছেন। তাদের মধ্যে এই উদ্বেগ বাড়ছে যে, ভারতে তাদের অস্তিত্বকে ক্রমেই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT