অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এবারের বাজেটে মহার্ঘ ভাতা অন্যতম একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে এবং এ নিয়ে একটি কমিটিও কাজ করছে।
তবে নতুন এই ভাতা চালুর সঙ্গে সঙ্গেই ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে চালু হওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।
২০১৫ সাল থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। এর পাশাপাশি গত জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকে ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছিল, যা এবার বন্ধ হয়ে যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নে সরকারের অতিরিক্ত প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
গত ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারের অধীনে গঠিত এক কমিটি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং ১ম থেকে ৯ম গ্রেডের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কমিটির সুপারিশে জনপ্রশাসন সচিব এ বছরের জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর করার পক্ষে মত দেন।
তবে অর্থনৈতিক চাপ ও বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু উপদেষ্টা-ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই বরাদ্দ প্রতি বছর গড়ে ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে প্রায় ৮৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হতে পারে। তবে নতুন মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়িত হলে এই ব্যয় ৯৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।