ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ, শাস্তি ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ঢাবি ১৫ দিন বন্ধ, রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ নানা আয়োজনে ইবিতে ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন সাদিও মানের হৃদয় ছুঁয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইফতার আমন্ত্রণ ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে নরসিংদীতে দ্বিতীয় ভূমিকম্প নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় ক্যাথলিক স্কুলের ৩০৩ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অপহরণ ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত রাফিউল: হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে থাকা মা এখনও জানেন না ছেলের মৃত্যুর খবর নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নিহত দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও ছেলের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন দ্বীনি শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ই সমাজ পরিবর্তনের চাবিকাঠি: ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন রমজান উপলক্ষ্যে আমদানী তৎপরতা বেড়েছে কয়েকগুণ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ, শাস্তি ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৮ বার দেখা হয়েছে
ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ, শাস্তি ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা

কুমিল্লার মুরাদনগরে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিচারের নামে অভিযুক্তকে ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্থানীয় মাতবরদের সালিশে এই রায় ঘোষিত হলেও ভুক্তভোগীর পরিবার তা মেনে নেয়নি। তবে মাতবররা জোরপূর্বক শিশুটির নানির হাতে জরিমানার টাকা তুলে দেন। একই সঙ্গে পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হয় যে, থানায় অভিযোগ করলে বসতভিটা ছাড়তে হবে।

শিশুটির নানি জানান, ঘটনার পর মাতবরদের জানালে তারা সালিশ ডাকার পরামর্শ দেন এবং পুলিশের কাছে গেলে ক্ষতি হতে পারে বলে ভয় দেখান। এ কারণে ১৫ দিন পর সালিশ বসানো হয়, যেখানে অভিযুক্ত বাবুলকে ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বাবুলের পরিবার থেকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এ বিষয়ে মুখ খুললে গ্রাম ছাড়তে হবে।

এ ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ছয়জন মাতবর বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন। তবে সেই অর্থ বণ্টন নিয়ে বিরোধ বাধে। চারজন মাতবর ১ হাজার টাকা করে এবং বাকি দুইজন ৫০০ টাকা করে নেন। অর্থ সমবণ্টন না হওয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মাতবররা।

সালিশে উপস্থিত এক ব্যক্তি জানান, বিচারের পর অভিযুক্ত বাবুল মিয়ার কাছ থেকে ইউপি সদস্য শাহীন মিয়াসহ ছয় মাতবরের জন্য আরও ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে শাহীন, জাফর আলীর ছেলে বাবুল, সৈয়দ আলীর ছেলে বাবুল ও শাহজালাল ১ হাজার টাকা করে নেন এবং কবির ও সাগর পান ৫০০ টাকা করে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া বলেন, “সালিশ পরিচালনা করেছেন ছন্দু মিয়া, রেনু মিয়া, সাগর, রাজু ও কবির। তাদের রায়ের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে তার বড় ভাই জুতাপেটা করেন এবং জরিমানার ৫ হাজার টাকা শিশুটির নানির হাতে তুলে দেওয়া হয়।”

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT