শাাতিম সম্পর্কিত কয়েকটি জরুরি নুকতা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী ভারত ছাড়তে তড়িঘড়ি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল

শাাতিম সম্পর্কিত কয়েকটি জরুরি নুকতা

মীযান হারুন
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে
বিচারকের সামনে শাতিমে রাসুল,শাাতিমের শাস্তি,শাাতিম, নবীকে গালি, হত্য্যা, ইসলামী শরীয়াহ, হদ্দ, পার্থিব শাস্তি, তাওবা, হাম্বলী মাযহাব, হানাফী মাযহাব, ইসলামের ইতিহাস, মুহদারুদ-দাম, বিচারক, শাসক, লঘু শাস্তি, তাযীর, রক্তপাত, দলীলযোগ্য, ইসলামী আইন, শাস্তি রহিত, মতপার্থক্য, ইজমা, বিচার ব্যবস্থা, মুসলিম, দায়, গাফলতি,শাতিমের শাস্তি, আইন বাস্তবায়ন, ইসলামি বিধান, সেক্যুলার রাষ্ট্র, উলামায়ে কেরাম, ইসলামবিদ্বেষ, ব্লাসফেমি আইন, কিসাস, আইন হাতে নেওয়া, রাষ্ট্রীয় শাস্তি, বাংলাদেশ সরকার, ইসলামপন্থী আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, সরকার পরিবর্তন, শান্তি শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, ধর্মীয় অনুভূতি, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, ইসলামী আইন, রাজনৈতিক বাস্তবতা, নেগোশিয়েশন, আইন প্রয়োগ, নিরাপত্তা, উলামাদের ভূমিকা, বাংলাদেশ পরিস্থিতি,শাতিম ইস্যু, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা
ছবিঃ প্রতীকি

#সর্বত্র একটি বর্ণনা দেখা যাচ্ছে: (من سب نبيا فاقتلوه) অর্থা‌ৎ ‘যে ব্যক্তি কোনো নবীকে গালি দেয় তাকে হত্য্যা করো’। বর্ণনাটি দুর্বল। রক্তপাত সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রকৃতির বর্ণনা দলীলযোগ্য নয়। তবে বক্তব্য ভুল নয়। শাাতিমের শাস্তি হত্যা- এই বিষয়ে সকল আলিম একমত।

# শাাতিম তাওবা করলে কবূল করা হবে কি না? আখিরাতে কবুল হবে ইনশাআল্লাহ এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তাওবার মাধ্যমে পার্থিব শাস্তি তথা হত্য্যা রহিত হবে কি না বিষয়টি মতপার্থক্যপূর্ণ। চার মাযহাবের ইজমা নেই। হাম্বলী মাযহাব মতে, শাস্তি রহিত হবে না। হদ্দ হিসেবে তাওবা সত্ত্বেও হত্য্যা করা হবে। হানাফী মাযহাবের ফয়সালা হলো, শাাতিম মুরতাদের বিধানে। ফলে তাওবা করলে পার্থিব শাস্তি রহিত হয়ে যাবে।
# লক্ষণীয়, মতপার্থক্যটা স্রেফ হত্য্যা রহিত হবে কি না সেই ব্যাপারে। এর মানে হলো, শাাতিমকে সর্বাবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তাওবাও নেয়া হবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। বিচারকের সামনে তাওবা করলে বিচারক ব্যক্তির অবস্থার প্রেক্ষিতে ফয়সালা করবেন। কিন্তু গর্তে লুকিয়ে থেকে ‘ভুল করেছি’ বললেই সব মাফ হয়ে যাবে, সর্বপ্রকারের দায় থেকে মুক্ত হবে- এমন কথা ইসলামের ইতিহাসে কেউ বলেনি।
# শাাতিমের শাস্তির দায়িত্ব শাসকের কাঁধে। ইসলামী শরীয়াহ নানান হিকমতের কারণে ব্যক্তি বিশেষকে এমন ভারী দায়িত্ব দেয়নি। তবে শাাতিম যেহেতু মুহদারুদ-দাম, তাই কোনো মুসলিম সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যক্তি উদ্যোগে তাকে হত্য্যা করে ফেললে হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বৈধতা নেই। হ্যাঁ শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে দায়িত্বশীল শাসক তাকে লঘু শাস্তি (তাযীর) দিতে পারে। কিন্তু শাসকের নিজের ত্রুটি বা গাফলতির কারণে ঘটলে সেক্ষেত্রে কোনো প্রকারের শাস্তি দেয়ার নৈতিক সুযোগ নেই। এজন্য বরং শাসক নিজেই দায়ী ও নিন্দাযোগ্য।
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT