লক্ষ্য অনুযায়ী ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে এখনো ৩০ কোটি বই ছাপা বাকি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল রাশিয়ার উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতায় কাঁপছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যে বিমানে মুসলমান সেজে ‘জঙ্গী’ হবার চেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুর! ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, ছয় কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ

লক্ষ্য অনুযায়ী ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে এখনো ৩০ কোটি বই ছাপা বাকি

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৪ বার দেখা হয়েছে
৩০ কোটি বই ছাপা বাকি,নতুন শিক্ষাবর্ষের বই, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থী, পাঠ্যবই সংকট, বই ছাপার দেরি, কাগজ সংকট, এনসিটিবি, শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, মুদ্রণ কার্যক্রম, শিক্ষাবর্ষ, বই বিতরণ, বই উৎসব বাতিল, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি, ওয়ার্ক অর্ডার জটিলতা, কাগজের উচ্চমূল্য, সরকারী হস্তক্ষেপ
ফাইল ফটো

প্রায় সাড়ে ৪ কোটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থী নতুন বইয়ের গন্ধ ও পাঠদান শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু এখনো অধিকাংশ বই ছাপার কাজ শেষ হয়নি। এ বছর স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০ কোটি বই ছাপানোর পরিকল্পনা থাকলেও মাত্র ১০ কোটি বই ছাপানো সম্পন্ন হয়েছে, ফলে এখনো ৩০ কোটি বই  ছাপা বাকি। এ কারণে বছরের শুরুতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বই হাতে পাবে না। খরচ কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার এবার বই উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

মুদ্রণ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাধারণত এই সময়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার অনেক শ্রেণির বইয়ের মুদ্রণ কার্যক্রমই শুরু হয়নি। বাজারে কাগজের সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় এই দেরি হচ্ছে, যা কাগজ ব্যবসায়ীদের তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। বছরের শুরুতে কিছু বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সম্ভব হলেও বাকি বই শেষ করতে মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে, যা বইয়ের সময়মতো বিতরণ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেছেন, এনসিটিবির সদস্যদের দায়িত্বহীনতার কারণে শিক্ষার্থীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যত দেরি হবে, ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়বে। শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যবই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এ বিলম্ব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

সূত্রের মতে, শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর কার্যক্রম জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে প্রায় তিন মাস পিছিয়ে যায়। শিক্ষাক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরও অনেক শ্রেণির বই এখনো ছাপার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপাতে এ বছরের ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেলেও কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না।

বাংলাদেশ মুদ্রণ সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেছেন, নবম-দশম শ্রেণির বই ছাপার চুক্তি এখনো শেষ হয়নি। কাগজের উচ্চমূল্য এবং ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে জটিলতাও দেরির প্রধান কারণ। এ অবস্থায় দ্রুত মুদ্রণ কার্যক্রম শেষ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT