বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

ঢাকা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২১৪ বার দেখা হয়েছে
রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ছাড়ালো, ছবি: ইন্টারনেট

উচ্চ প্রবাসী আয়ের প্রভাবে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ । বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২৬.০৯ বিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলারে।

গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল। এর ফলে আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ নেমে এসেছিল ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

এরপর, গত দেড় মাসে রিজার্ভ আবার বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ ডিসেম্বর ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে এবং পরবর্তী চারদিনে তা ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করে। প্রথমটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিলের সমন্বয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি আইএমএফ পদ্ধতি, যেখানে তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়। তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, যা বর্তমানে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।

দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ চার মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা রাখে।

করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে এটি কমে ২৪.৭৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায় এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় সংকুচিত হয়।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি পণ্য ও জ্বালানি আমদানি বাড়াতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক ঋণ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি প্রতিদিন বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার সরবরাহ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৬ বিলিয়ন ডলারে। শুধু ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনেই এসেছে ২.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT