দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার মূল্য ২ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই মূল্যবৃদ্ধি তেজাবী সোনার দাম বৃদ্ধির কারণে হয়েছে।
সোমবার বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়। নতুন মূল্য মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দর বৃদ্ধি এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকার ফলে বাংলাদেশেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এদিকে, ব্যবসায়ীরা মনে করছেন যে ভবিষ্যতে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে যদি আন্তর্জাতিক বাজারে এই ধারা অব্যাহত থাকে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টিসিবির পণ্যের জন্য ক্রেতাদের ভিড় বৃদ্ধি।
সোনার অন্যান্য ক্যারেটেও মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৭ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার মূল্য ১ লাখ ৯১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম এক লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।
তবে সোনার দাম বাড়লেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সোনার দামের এই ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যারা বিয়ে বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সোনা কিনতে চান। ফলে অনেকেই এখন অপেক্ষা করছেন দাম কমার আশায়।
অন্যদিকে, সোনা ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, উচ্চ দামের কারণে সোনার চাহিদা কিছুটা কমলেও বিনিয়োগকারীরা এতে লাভবান হতে পারেন। অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনাকে বেছে নিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে আরও বেশি চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টিসিবির পণ্যের জন্য ক্রেতাদের ভিড় বৃদ্ধি।
সোনার বাজারের এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে বাজারের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওপর।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ির নিচে পাঁচতলা ভবনের সন্ধান
আমাদের ফেসবুকে ফলো করুন
Leave a Reply