যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ভালোভাবেই জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কোথায় অবস্থান করছেন। তবে এখনই তাঁকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একাধিক পোস্টে ট্রাম্প ইরানকে কেন্দ্র করে একের পর এক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি দাবি করেন, “খামেনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে তিনি এখন যেখানে আছেন, সেখানে নিরাপদে আছেন। আমরা তাঁকে সরিয়ে দেব না— অন্তত এখনই না।”
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই চায় না ইরান বেসামরিক নাগরিক কিংবা মার্কিন সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাক। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।”
ছবিঃ এক্স
একটি পৃথক পোস্টে ট্রাম্প বড় অক্ষরে লেখেন, “UNCONDITIONAL SURRENDER!” অর্থাৎ, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।” বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরানের প্রতি তাঁর আগের কড়া অবস্থান এবং সম্পূর্ণভাবে পিছু হটার আহ্বানেরই পুনরাবৃত্তি।
এদিকে রয়টার্সের এক খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। রয়টার্সের বরাত দিয়ে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসন এখনও সরাসরি হামলার পথ বেছে নিচ্ছে না, তবে আঞ্চলিক উত্তেজনা যদি বাড়ে, তাহলে দৃঢ় জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক বার্তাই নয়, এটি ইরানের প্রতি একটি কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা। ইরান এই মুহূর্তে ভেতরে-বাইরে নানা চাপে রয়েছে— একদিকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে আঞ্চলিক বিরোধ। ট্রাম্প হয়তো এই চাপে আরও ঘি ঢালতেই এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন।