গাজায় প্রাণ হারালেন বাংলাদেশের হয়ে কাজ করা ফিলিস্তিনি দুই স্বেচ্ছাসেবী - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কুবিতে ফুটবল খেলায় মারামারির ঘটনায় একজন অ্যাকাডেমিক ও চারজন হল থেকে বহিষ্কার রাবি প্রেসক্লাবের চার দশক পূর্তি কাল: থাকবেন মাহমুদুর রহমান স্টেডিয়ামের নামেই মেসি—বার্সার ঐতিহাসিক উদ্যোগ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনার ফাঁসির রায়ে শেকৃবিতে মিষ্টিমুখ ও আনন্দ মিছিল নষ্ট মোবাইল দান কর্মসূচিতে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ সৌদি আরব বলেছে, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া: ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে দাবি হেফাজতে ইসলামের কুবিতে আইইএলটিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

গাজায় প্রাণ হারালেন বাংলাদেশের হয়ে কাজ করা ফিলিস্তিনি দুই স্বেচ্ছাসেবী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮১ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে চলমান সহিংসতায় এবার প্রাণ হারালেন বাংলাদেশের মানবিক সহায়তামূলক প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করা দুই ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবী। ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফাউন্ডেশনটির নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান।

নিহতদের একজনের নাম আবু ওমর, যিনি গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দুজনই মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রান্নার টিমে যুক্ত ছিলেন এবং রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন গাজাবাসীর মাঝে রান্না করা খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণে নিয়োজিত ছিলেন।

কাজী রিয়াজ রহমান জানান, মিশর সরকারের অনুমোদন ও সহযোগিতায় গত দেড় বছর ধরে তারা নিয়মিতভাবে গাজায় ত্রাণ পাঠিয়ে আসছেন। খাবার, পানি, ওষুধসহ নানান সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের কাছে। “আমরা গরম খাবার রান্না করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তা বিতরণ করছি। কয়েকদিন ধরে দুজন স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আজ খবর এলো—তারা ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য গভীর বেদনার, একই সঙ্গে মানবতার জন্য বড় ক্ষতি,” বলেন তিনি।

গাজায় চলমান সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে, যার অন্তত ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিলেও এখনও দৃশ্যমান কোনো আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেই।

চলমান সংকটে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো গাজার মানুষের জীবনের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে। কাজী রিয়াজ রহমান জানান, “আমরা থেমে যাব না। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের রক্ত বৃথা যাবে না। গাজার মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ চালিয়ে যাব”

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT