মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামীকাল, ২৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে, ফলে মোট শুল্কের হার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে। এই পদক্ষেপটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ 14329-এর আওতায় নেওয়া হয়েছে, যা রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইতোমধ্যে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে, যা আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে “অনুপযুক্ত, উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক” বলে অভিহিত করেছে, এবং দেশটির কৃষক ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষায় “লাল রেখা” রক্ষার অঙ্গীকার করেছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভারতের রপ্তানি খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে গয়না, বস্ত্র, চিংড়ি, রাসায়নিক ও অটোমোবাইল খাতে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই পদক্ষেপ ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে।
অপরদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে চীন ও ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশ ভারতের বাজারে শূন্যতা পূরণের সুযোগ পেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতের সরকার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ভাবতে পারে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভারতীয় শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যেখানে নিফটি ৫০ ও সেনসেক্স সূচক প্রায় ০.৭ শতাংশ করে কমেছে।
এদিকে, অ্যাপলসহ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি এই শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকতে পারে, কারণ তারা চীন থেকে উৎপাদন স্থানান্তর করে ভারতে নিয়ে এসেছে।
মোটকথা, এই শুল্ক বৃদ্ধি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন চ্যালেঞ্জের সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।