জুলাই গণঅভ্যুত্থয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, কামালকে একই রায়; মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
বুটেক্স হলগুলোতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, ডেঙ্গুতে বহু শিক্ষার্থী আক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Allama Iqbal’s Theory of Khudi’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুলাই অভ্যুত্থান মামলা : পলাতক আসামিরা আপিল করতে পারবেন না জুলাই গণঅভ্যুত্থয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, কামালকে একই রায়; মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন যে কারণে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন না শেখ হাসিনা জুলাই গণআন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় আজ ইবির প্রয়াত শিক্ষার্থী শান্তার স্মরণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি নির্বাচনী ব্যানার বিতর্ক: শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

জুলাই গণঅভ্যুত্থয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, কামালকে একই রায়; মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই–অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী হওয়ায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত টানা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায়ের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে প্রথম দফায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া অভিযোগের পাশাপাশি দ্বিতীয় অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পান কামাল। মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যিনি অ্যাপ্রুভার হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ায় হ্রাসকৃত দণ্ড পেয়েছেন।

এ মামলার রায় বাংলাদেশের বিচার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের নজির সৃষ্টি করল। রায়টি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার হয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক মোড়ে জনসমাগমে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।

রায়ে বলা হয়, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের সময় হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে গণহত্যা, নির্যাতন, গুম ও হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। মামলার তদন্ত ও প্রদর্শিত ভিডিও–অডিও প্রমাণে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুর, বাড্ডা, রামপুরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রাণঘাতী অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত হয়।

মামলায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট, উদ্ধারকৃত কল রেকর্ড, স্যাটেলাইট ফুটেজ, ফরেনসিক বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও তদন্ত নথি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। মোট ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। ৬ ভাগে বিভক্ত ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ জনসম্মুখে পাঠ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়। মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে।

২০২৪ সালের জুলাই–অগাস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকালে দেশজুড়ে ব্যাপক দমন–পীড়ন, নির্বিচারে গুলি, নিখোঁজ, নির্যাতন, লাশ পোড়ানো, ড্রোন–হামলা ও হেলিকপ্টার হামলার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপক্ষ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করে। তদন্ত প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮,৭৪৭; যেখানে দালিলিক প্রমাণ ৪,৫০০+, তথ্যসূত্র ২,০১৮+ ও শহীদদের নামের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT