একটি ফেসবুক পোস্টে (১৬ এপ্রিল) শফিকুল আলম লেখেন, লিংক https://www.facebook.com/share/p/1ERyw798nG/ একজন নাগরিক হিসেবে সাকিবের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যখন মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং পদ্ধতিগত দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি, তখন সেই দলে যোগদান নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, এটি শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়া নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত সরকারের প্রতি মৌন সমর্থন প্রকাশ। সাকিব তার সিদ্ধান্তের পরও কোনো পেশাদার জনসংযোগ কৌশল গ্রহণ করেননি, যা একজন আন্তর্জাতিক তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশিত। তিনি বিশ্বমানের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা নিতে পারতেন, যা তাকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রাখতে পারত।
শফিকুল আরও উল্লেখ করেন, সাকিবের নীরবতাই সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক—বিশেষত মাগুরায় বিরোধী দলের কর্মীদের গুলি করে হত্যার ঘটনার পর। তিনি বলেন, কোনো বক্তব্য, নিন্দা বা দুঃখ প্রকাশ না করায় সাকিব ‘নৈতিক বধিরতা’র পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলাই কাউকে দায়মুক্তি দেয় না। বরং বিতর্কিত ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে সাকিব দেশের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়কে বৈধতা দিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তের মূল কারণ হতে পারে লোভ, জনসেবার ইচ্ছা নয়।
শেষে শফিকুল আলম বলেন, “একদিন সাকিব হয়তো ফিরে আসবেন এবং উপলব্ধি করবেন যে, তার সিদ্ধান্ত শুধু ভুলই ছিল না, ছিল বিশ্বাসঘাতকতাও।”