দেশে ফেরার পর অভিজ্ঞতা জানালেন শহিদুল আলম - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবি ভর্তি আবেদন শুরু ২৩ নভেম্বর, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বালিয়াকান্দিতে আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু ক্যাম্প, শতাধিক দরিদ্র রোগী পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প—কুবির পাঁচ কৃতি শিক্ষার্থীর বিসিএস জয়যাত্রা বিবিসিতে শেখ হাসিনা অস্বীকার করলেন গণঅভ্যুত্থান হত্যা অভিযোগ জুলাই সনদে আইনি সিল, এক ঘোষণায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙলেন ইউনূস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ৪৪তম ও ৪৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা–লুটপাট: আড়াই মাস পর ৯৬ জনের নামে মামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘোষণার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল কুবির বিজয়-২৪ হলে বিতর্ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম কুবির অলি উল্লাহ

দেশে ফেরার পর অভিজ্ঞতা জানালেন শহিদুল আলম

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৭ বার দেখা হয়েছে

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকায় পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ইসরাইলি সেনাদের আচরণ ও কারাগারের কঠিন সময়ের কথা প্রকাশ

ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও ‘দৃক’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। শনিবার ভোরে তিনি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকায় পৌঁছান। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সময় শহিদুল আলম জানান, সবচেয়ে অপমানজনক মুহূর্ত ছিল যখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখার পর ইসরাইলি সেনারা ক্ষিপ্ত হয়ে তা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে। তিনি বলেন, “এই অপমানের বিচার আদায় করতে হবে।”

গত বুধবার গাজাগামী নৌবহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ দখল করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই বহরের ‘কনশানস’ নামের জাহাজে শহিদুল আলমসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা ছিলেন। ইসরাইলি সেনারা তাদের আটক করে কারাগারে নিয়ে যায়। শহিদুল আলম জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখার পর সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, যা তার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ছিল। তিনি বলেন, “একটি দেশের পাসপোর্ট এভাবে অপমান করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ন্যায়বিচার আমাদের আদায় করতে হবে।”

ইসরাইলের কারাগারে কঠিন সময় পার করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে শহিদুল আলম জানান, “আমাদের উপর নির্যাতন হয়েছে, কঠিন সময় কেটেছে। তবে গাজার মানুষ যে অবস্থায় আছে, তার তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না। গাজাবাসী যতক্ষণ মুক্ত না হয়, আমাদের কাজ শেষ হয়নি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের মতো আরও হাজার ফ্লোটিলা পাঠাতে হবে যতদিন না ফিলিস্তিন স্বাধীন হয়। “আমাদের আসল সংগ্রাম এখনো বাকি আছে,” বলেন শহিদুল আলম। তিনি বাংলাদেশ সরকারের, তুরস্ক সরকারের এবং মুক্তির জন্য যারা চেষ্টা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শহিদুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT