মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে ফেসবুকে নিজের টাইম লাইনে অশালীন ও অশ্রাব্য পোস্ট দেওয়ার পর সাধারণ মুসলিম জনতার প্রতিবাদ ও আলেমদের বিবৃতির মুখে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিলেন রাখাল রাহা। তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,
“যা কিছু হয়েছে, ঘটেছে–এটা আমার ভুল; একটা ভুল বুঝতে গিয়ে আরেকটা ভুল; আমি আবারও আমার ভুল স্বীকার করছি।
আল্লাহতায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন, মুসলমান সমাজ আমাকে ক্ষমা করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার মঙ্গল করুন, বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করুন।
.
রাখাল রাহা, ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫
.
নোট : ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত আমি এনসিটিবিতে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনার কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম। ওটা কোনো পদ না, ৫৭ জন মানুষ আমরা নানাভাবে কাজ করেছি। ১লা জানুয়ারী ২০২৫ থেকে আমি আমার পেশায় ফিরে এসেছি। এনসিটিবির কোনো কাজের সাথে আমি এখন আর যুক্ত নই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রাখাল রাহা ফেসবুক ইন্ট্রোতে নিজের পরিচয় দিয়ে রেখেছেন এমন- Rakhal Raha: Human Being, Bengali, Writer, Believer, Religion-less (মানুষ, বাঙালী, লেখক, বিশ্বাসী, নিধর্মী)।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, রাখাল রাহা যেহেতু আল্লাহ-স্রষ্টাতে বিশ্বাসই করেন না, তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন কীভাবে? তবে কি এটি নিছকই ক্ষমা চাওয়ার খাতিরে ক্ষমা চাওয়া? রাখাল রাহাকে ক্ষমা করা উচিত কিনা এই প্রশ্ন নিয়েও নানা মত-প্রতিমত পাওয়া যাচ্ছে। কলামিস্ট তারেকুল ইসলাম লিখেছেন, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। কিন্তু অপরদিকে বেশ কিছু ইসলামিক স্কলার বলেছেন, তার ক্ষমার বিষয়টি আল্লাহর হাতে, কিন্তু আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে এরকম করে একের পর এক রাখাল রাহাদের জন্ম হবে। কাজেই ব্লাসফেমি আইনের দাবি থেকে পিছু হটে আসার সুযোগ নেই।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd