প্রেসিডেন্ট রেবেলো দে সাউসা আইনটিতে তিনটি বড় ধরনের ক্রুটি লক্ষ্য করেছেন, যা হলো—
১. আপিলের সুযোগ সীমিত করা:
নতুন আইনে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনকারীদের আপিলের অধিকার সীমিত করা হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সংকীর্ণ হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
২. অভিবাসন বিরোধী ধারা:
প্রেসিডেন্টের মতে, প্রস্তাবিত আইনটি অভিবাসীদের স্বার্থবিরোধী হয়ে উঠতে পারে এবং বর্তমান অভিবাসন নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে এটি প্রয়োগে বৈষম্য তৈরি হতে পারে।
৩. মানবিক অধিকার খর্বের আশঙ্কা:
নতুন আইনের কিছু ধারা অভিবাসীদের পরিবার reunification (পরিবারকে পরবর্তীতে নিয়ে আসার) ও অন্যান্য মৌলিক মানবিক সুযোগ-সুবিধা সীমিত করতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট মনে করেন।
এসব কারণে প্রেসিডেন্ট বিলটিতে স্বাক্ষর না করে তা পর্তুগালের সাংবিধানিক আদালতের পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়েছেন। তার মতে, চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে বিলটির আরও গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।
এদিকে প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে পর্তুগালের পিএস (সোশালিস্ট পার্টি) ও সুশীল সমাজের অনেকেই। তাদের প্রত্যাশা, সাংবিধানিক আদালতের মতামতের ভিত্তিতে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে আইনটি আরো মানবিক ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে সংশোধিত হয়ে কার্যকর হবে।