অস্ট্রেলিয়ার জেরাবোমবেরা রিজিওনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল খেলা হঠাৎ থেমে গেল এক অদ্ভুত কারণে। মাঠের একেবারে মাঝখানে রাখা ছিল স্থানীয় বিপন্ন প্রজাতির প্লোভার পাখির ডিম। ডিমটি সরানো বা নড়াচড়া করা আইনত নিষিদ্ধ হওয়ায় ম্যাচগুলোকে অন্য মাঠে সরানো হয়েছে।
কুইনবিয়ান-পেলারাং রিজিওনাল কাউন্সিল জানিয়েছে, ডিম ফুটতে সাধারণত ২৮ দিন সময় লাগে। এছাড়াও ছানা জন্মানোর পরও প্লোভার পরিবার দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকে। তাই কবে মাঠ আবার খেলার জন্য উন্মুক্ত হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ওয়াইল্ডকেয়ারের এক মুখপাত্র বলেন, “প্লোভারদের বাসা একবার নষ্ট হলে মা-বাবা ছানাকে ত্যাগ করে চলে যায়। তাই খেলা অন্য মাঠে সরানোই একমাত্র নিরাপদ উপায় ছিল।”
প্লোভারদের জন্য এটি নতুন ঘটনা নয়। অস্ট্রেলিয়ায় প্রায়ই দেখা যায় এই পাখি অপ্রত্যাশিত স্থানে বাসা বাঁধে—কখনো খেলার মাঠে, কখনো ভবনের ছাদে। এমনকি বিশ্ববিখ্যাত গ্রেট ওশান রোডের কাছেও আগে তাদের কারণে সৈকত বন্ধ করতে হয়েছিল।
স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক করেছে, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও বাড়বে। খেলোয়াড়দের জন্য যতই অসুবিধা হোক, পাখির জীবন বাঁচানোই এখন প্রাধান্য।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রথমে খেলার হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় তারা অবাক হয়েছিলেন। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব বুঝে সবাই পরিস্থিতি মেনে নিয়েছেন।
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি বিরক্তিকর হলেও, প্রাকৃতিক জীবন ও মানুষের কার্যক্রমের সংঘর্ষ এড়ানো যায় না। মাঠে প্লোভার ডিমের উপস্থিতি আবার মনে করিয়ে দিল—কখনও কখনও জীববৈচিত্র্যের জন্য খেলাই পিছিয়ে দিতে হয়।