কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় পানি কচু ও লতি উৎপাদন বিদেশি বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় কৃষকদের চাষ করা এসব সবজি প্রতিদিন ৮০ টনের বেশি রপ্তানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এতে মাসিক গড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে।
বরুড়ার আগানগর, ভবানীপুর, খোশবাস, শিলমুড়ি ও আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে পানি কচু ও লতির চাষ হচ্ছে। জমিতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম, আবার চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা সরাসরি মাঠে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। ফলে বাজারে গিয়ে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির ফলে লতির মান ও উৎপাদন বেড়েছে। এতে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে এবং রপ্তানি বাড়াতে নিয়মিত তদারকি করছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীরা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। তারা সরাসরি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে ন্যায্যমূল্য আরও বাড়বে। তবুও বর্তমান রপ্তানি ব্যবস্থায় আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভ পাচ্ছেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারিভাবে আরও সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানো গেলে বরুড়ার পানি কচু ও লতির রপ্তানি বহুগুণে বাড়বে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙা হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয়েও বড় ভূমিকা রাখবে।