গত ১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার জুলাই ম্যাসাকার নিয়ে তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। ১১৪ পৃষ্ঠার ইংরেজিতে লিখিত এই রিপোর্টে বিস্তারিত উঠে এসেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে কীভাবে তার বাহিনীগুলো দেশের সাধারণ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তার বিবরণ, যাকে ইতিহাসের অমোচনীয় কালিতে লেখা এক দগদগে দলিল বলা চলে। এই রিপোর্টের জের ধরে হাসিনার নির্বিচার খুন ও হতাযজ্ঞের বিচার করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ইনিকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর নেতৃত্বে একদল অনুবাদকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইংরেজিতে লিখিত সেই ১১৪ পৃষ্ঠার প্রামাণ্য প্রতিবেদনটি বাংলায় অনুবাদ চলছে। জানা গেছে অনুবাদ শেষ পর্যায়ে, শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে বাংলায় অনূদিত এই প্রতিবেদনটি।
এই কাজের জন্য ১৮ জন অনুবাদকের একটি টিমকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে করছে। ১০ সদস্যের একটি গ্রুপ অনুবাদ করেছে, বাকি ৮ সদস্যদের দ্বারা চলছে সম্পাদনার কাজ।
এমন উদ্যোগ গ্রহণের পূর্বে শরীফ ওসমান বিন হাদী তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট দেন, “জুলাই ম্যাসাকার নিয়ে জাতিসংঘ ১১৪ পৃষ্ঠার যে প্রতিবেদনটা দিয়েছে, এটা খুni লীগের কফিনে শেষ পেরেক। ইনকিলাব মঞ্চ‘র পক্ষ থেকে আমরা সেই প্রতিবেদনের বাংলা অনুবাদ বের করতে চাই। দেশের ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দিতে চাই। এই রিপোর্টের প্রথম পৃষ্টাটা লীগ নেতাদের কবরে এপিটাফ হিশাবে লাগাইয়া দিয়া আসতে চাই। এই কার্যক্রমে আমাদের কিছু দক্ষ অনুবাদক দরকার। তেমন ভালো সম্মানী আমরা দিতে পারবো না। কাইন্ডলি ইংরেজি-বাংলা অনুবাদে দক্ষ কেউ এগিয়ে এলে আমাদেরকে কমেন্টে/ইনবক্সে জানান।”
তার এই আবেদনে সাড়া দেন শত শত স্বেচ্ছাসেবী অনুবাদক, তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৮ সদস্যের এই টিমটি গঠন করা হয়, যারা এখন দিনরাত পরিশ্রম করে এই প্রশংসনীয় উদ্যোগটি সফল করতে চলেছেন।