৫ আগস্ট স্ত্রীসহ ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম: ওবায়দুল কাদের - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের পর্যালোচনায় ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধের বাজি খেলায় ট্রাম্প: বিজয় না বিপর্যয়? অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ ১২৫ দফা রাবি ছাত্রশিবিরের ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ট্রাম্প ভারতে নারীদের একাকী ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র আকাশপথে আঘাত, পাতালে প্রতিরোধ: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সংঘাতের এক বিপজ্জনক সন্ধিক্ষণ মার্কিন হামলার পরও তেজস্ক্রিয়তা বাড়েনি: জাতিসংঘ পরমাণু সংস্থা (IAEA) ইউএস নিউজ বেস্ট গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে রাবির বড় অগ্রগতি বিএনপির গ্রুপিং দ্বন্দ্বে অতিষ্ঠ কর্মীরা; মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে খোলা চিঠি আজ পাস হচ্ছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট

৫ আগস্ট স্ত্রীসহ ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম: ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৫০ বার দেখা হয়েছে

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্টের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়াল-এর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সেদিন প্রাণ বাঁচাতে তিনি স্ত্রীসহ পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই চারদিকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সংসদ এলাকায় নিজের বাসা ছেড়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেন তিনি। তবে সেই বাসাতেও হামলা হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তিনি ও তার স্ত্রী বাথরুমে গিয়ে লুকান।

কাদের বলেন, আন্দোলনকারীরা বাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। এমনকি বাথরুমের ভেতরের কমোড ও বেসিনও ছাড়েনি। তখন তার স্ত্রী মুখে বলছিলেন, তিনি অসুস্থ, যেন ভেতরে না ঢোকে। কিন্তু একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিলে, সাত-আটজন তরুণ বাথরুমে ঢোকে। তারা প্রথমে আক্রমণাত্মক থাকলেও পরে আচমকাই আচরণ পাল্টে ছবি তুলতে ও সেলফি নিতে শুরু করে। কাদের বলেন, তারা হয়তো তাকে চিনে ফেলেছিল, তাই মনোভাব বদলে যায়।

তিনি জানান, ওই তরুণদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চাইলেও অন্যরা আপত্তি জানায়। পরে তারা তাকে ছদ্মবেশে (কালো মাস্ক ও লাল ব্যাজ লাগিয়ে) একটি অটোতে তুলে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। পথে বিভিন্ন চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় তরুণেরা কৌশলে বলেছিল—“চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি।”

স্মৃতিচারণায় কাদের বলেন, “সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। তারা চাইলে রাস্তায় জনতার হাতে কিংবা সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিতে পারত।”

পরে তিনি আরও প্রায় তিন মাস বাংলাদেশেই ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সংগঠনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা। তিনি জানান, এরপর ক্রমেই নেতারা গ্রেফতার হতে থাকেন এবং নিজের বিরুদ্ধে বহু মামলা থাকায় তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরও তিনি কলকাতায় নয় মাস ছিলেন এবং ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও জেল খেটেছেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক জীবনে এই রকম পালিয়ে থাকা ও বেঁচে যাওয়া তার জন্য নতুন কিছু নয় বলেই মন্তব্য করেন কাদের।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT