রাজশাহীতে নওমুসলিম শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে আবির (পূর্ব নাম প্রণব কুমার মন্ডল) আদালতের নিজ জিম্মায় থাকার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পরিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে আটক রেখে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শিক্ষাজীবন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এমনকি জীবননাশের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে আদালত তাকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দিলেও পরিবার আদেশ অমান্য করে আটক রাখে। ফলে তিনি নামাজ আদায়, বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। প্রায় এক মাস ধরে তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারছেন না। বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আব্দুল্লাহ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ‘ইলেক্ট্রো মেডিকেল টেকনোলজি’ বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী (রেজি নং ১৫০২১৭৮৮৩৩; বোর্ড রোল ৬২১৪৭২)। তিনি হিন্দু ধর্মের প্রতি অনাগ্রহ ও ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগের কারণে গত ১১ আগস্ট প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই তিনি পরিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বোয়ালিয়া থানায় দায়েরকৃত জিডিতে (নং-১৪৬৫) তিনি নিজেই উল্লেখ করেছিলেন যে ধর্মান্তরের কারণে পিতা-মাতা ও স্বজনরা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। আদালতে হাজির হওয়ার সময়ও তিনি সুস্থ ও স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জানান এবং নিজ জিম্মায় থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আদালত তা অনুমোদন দিলেও নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবার তাকে সঙ্গে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও তার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। এর ফলে তার শিক্ষা কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ ব্যাহত হচ্ছে।
এ ঘটনায় শিক্ষক, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে তাকে আটক রাখার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন। তবে আইনজীবী ও পুলিশের অনাগ্রহের কারণে বিষয়টি এখনো আইনি সমাধানের মুখ দেখেনি।