২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) আত্মহত্যার হার নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি মাসে দুইজন সেনা সদস্য আত্মহত্যা করছেন—যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের জন্য দিন দিন গোপন রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ইজরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক হারেতজ জানায়, গাজায় চলমান সহিংস অভিযানের মানসিক প্রভাব সেনাদের উপর ভয়াবহভাবে পড়ছে, এবং আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলো তা স্পষ্ট করছে।
সর্বশেষ, নাহাল ব্রিগেডের এক সেনা সদস্য উত্তর অধিকৃত ফিলিস্তিনের এক সামরিক ঘাঁটিতে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় আইডিএফ।
এই ঘটনায় সামরিক পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং তদন্ত শেষে রিপোর্ট সেনাবাহিনীর প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে পেশ করা হবে।
এই ঘটনাটি এক সপ্তাহের মধ্যে আইডিএফে তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনা।
ইসরায়েলি বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, “এই পরিসংখ্যান কখনোই উপেক্ষা করা যায় না। এটি আরেকটি যুদ্ধ, যা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।”
তিনি জানান, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ওই বছরের শেষ পর্যন্ত ৭ জন সেনা আত্মহত্যা করেন।
২০২৪ সালে আরও ২১টি আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, এবং ২০২৫ সালে ইতিমধ্যে ১৫ জন সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
আইডিএফ এখনো চলতি বছরের (২০২৫) নির্ভরযোগ্য ও পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডিসেম্বরের আগে তারা কোনো চূড়ান্ত তথ্য দেবে না।
হারেতজ আরও জানায়, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই রিজার্ভ ইউনিটের সদস্য ছিলেন এবং এসব ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত কারণ অপেক্ষাকৃত কম। অধিকাংশ সেনা সদস্যই যুদ্ধক্ষেত্রে চরম সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছিলেন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।