ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কাতার ও তুরস্ক। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান উভয়ই ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য আর কোনো নতুন সংঘাত বা উত্তেজনা সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ অবিবেচনার ফল এবং এর প্রভাব বিশ্ববাজার, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে পড়তে শুরু করেছে।” তিনি পারস্য উপসাগরের গ্যাসক্ষেত্রে হামলাকে ‘গুরুতর ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা পুরো অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এদিকে সোমবার (১৬ জুন) তুরস্কের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানে ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, “ইসরায়েলের বেআইনি কর্মকাণ্ড তাদের নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ড আর সহ্য করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে এবং এটি তাদের নিজেদের জন্যই বিপদ ডেকে আনছে।”
কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা উত্তেজনা প্রশমনে আন্তর্জাতিক সংলাপ এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে। আনসারী বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি যাতে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিরাপদ থাকে। হামলা হলে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ভয়াবহ হুমকি তৈরি করবে।”
উভয় দেশের বার্তায় স্পষ্ট—আরেকটি যুদ্ধ এই অঞ্চল সহ্য করতে পারবে না। এখনই ধ্বংসাত্মক পথ পরিহার করে কূটনৈতিক সমাধানের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে কাতার ও তুরস্ক।