ফ্রান্সে ইমামতি আনুষ্ঠানিকভাবে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এটিকে কর্মসংস্থান খাতের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে ইমামদের কাজকে একটি কাঠামোবদ্ধ ও প্রতিষ্ঠিত পেশা হিসেবে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি, তাদের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্মপরিকল্পনা এবং চুক্তিভিত্তিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো এক ঘোষণায় এই সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, এটি ফ্রান্সে ইমামদের ভূমিকার প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে আরও সুসংগঠিত করবে।
এই উদ্যোগের আওতায় ইমামদের জন্য নির্ধারিত কর্মসংস্থান কাঠামো তৈরি করা হবে, যেখানে তাদের দায়িত্ব ও পেশাগত শর্তাবলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। একইসঙ্গে, সরকারি চুক্তির মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে। এটি শুধু ইমামদের জন্যই নয়, বরং পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এছাড়া, ফরাসি সরকার হাসপাতাল ও সামরিক বাহিনীতে মুসলিম ধর্মযাজকদের (চ্যাপলিন) স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা জনসেবা খাতে মুসলিম ধর্মীয় চর্চার সুযোগকে আরও সুসংগঠিত করবে। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সেবা আরও সহজলভ্য হবে এবং তারা সরকারি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং মুসলিম জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ (ফ্রান্সে ইমামতি) মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের ইতিবাচক মনোভাবকে প্রকাশ করে এবং ইসলামবিদ্বেষ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তবে, ফ্রান্সে ধর্মীয় বিষয়ে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক থাকায় কিছু মহল থেকে সমালোচনার আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে, অনেক মুসলিম সংগঠন এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানালেও, তারা চায় যেন ইমামদের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ যথাযথভাবে রক্ষা করা হয়।
আরও পরুনঃ অবশেষে ‘তৌহিদী জনতা’র কাছে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা মাহফুজ
Follow Us On Facebook