রক্তাক্ত জুলাই মাসের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে, কিন্তু এখনো শত শত আহত যোদ্ধা হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রাখা সেই বীর যোদ্ধাদের মধ্যে অনেকের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই। অনেকে আজ অবহেলিত অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। এমন এক সময়ে জুলাই-অগাস্টের হাসিনা পতন আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ক্যান্টিন বয় রাসেলের খোঁজখবর নিল শেকৃবি প্রশাসন।
আজ (বৃহস্পতিবার) তার চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে দেখতে কিডনি হাসপাতালে ছুটে যান শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেলাল হোসাইন এবং কোষাধ্যক্ষ আবুল বাসার। এ সময় উপাচার্য হাসপাতালের পরিচালক এবং রাসেলের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। তিনি রাসেলের চিকিৎসা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের দিন বিকেলে শেরেবাংলা নগর থানার সামনে বিজয় মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ক্যান্টিন বয় রাসেল। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে কিডনি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে তার কয়েক দফায় অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং সর্বশেষ একটি অপারেশন এখনও বাকি।
এ সময় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক প্রফেসর ডা. সায়েদ আলফাসানী বলেন, ‘আমরা জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছি। তাদের চিকিৎসায় সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের সহযোগিতায় শেকৃবি প্রশাসন সব সময় পাশে ছিল এবং থাকবে। আহত রাসেলের চিকিৎসা শেকৃবি প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে থাকবে এবং চিকিৎসা ও আর্থিকসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’