দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। যদিও ভারত সরকার তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে, তবে তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে দেশটির আগ্রহ এখন স্পষ্টতই কম। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা কমে গেছে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশ এবং দেশজুড়ে জনরোষ সেই অবস্থানকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ এখন এক নতুন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধারা অনুসরণ করছে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি এক নতুন পরিচয়ে গড়ে উঠছে। ফলে ভারতের নীতিনির্ধারকেরা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখাকে এখন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন।
ভারত নিজেও এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনীতিতে ভারসাম্য রক্ষায় মনোযোগী। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন এবং সাম্প্রতিক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভান্সের ভারত সফর সেই কূটনৈতিক সমীকরণকেই তুলে ধরেছে। সফরে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ না ওঠায় অনেকেই এটিকে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এখন আগের মতো ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেই বেশি আগ্রহী। এতে কৌশলগতভাবে ভারতের স্বার্থ যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি প্রতিবেশী দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিও সম্মান জানানো হবে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, শেখ হাসিনাকে ঘিরে ভারতের আগ্রহের এই পরিবর্তন এক কূটনৈতিক কৌশলেরই অংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি নতুন বার্তা বহন করছে।