হাসনাত আবদুল্লাহর সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টের পর নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে, যা নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
জামায়াতের অবস্থান: জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না।” তিনি জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য কিছু মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গুদের সুচিকিৎসা এবং গণহত্যার বিচার জনগণের প্রধান দাবি।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া: বিএনপির ফেসবুক পেজ থেকে মির্জা আব্বাসের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যার ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোন আপস নেই: মির্জা আব্বাস।” আরও একটি পোস্টে বিএনপি জানিয়েছে, “আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। সেই আওয়াজ আমরা উঠাচ্ছি। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আ. লীগের সাংগঠনিকভাবে বিচার দাবি করছি,” বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
এই পোস্টগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব পোস্টের মাধ্যমে দুটি প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের এমন কঠোর অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ফেরা আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।