আগামী বছর (২০২৬) হজ প্যাকেজে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ কমছে। বিশেষ করে বিমান ভাড়ায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হ্রাস পাওয়ায় হজযাত্রীদের মোট খরচে উল্লেখযোগ্য সাশ্রয় হবে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চলতি বছরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে প্যাকেজ–১ এর খরচ হয়েছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং প্যাকেজ–২ এ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। তবে আগামী বছর তিনটি সরকারি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে একটি হারাম শরীফ থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে হোটেল সুবিধাসহ, যা হবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আরেকটি থাকবে হারাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটারের মধ্যে—এটি চলতি বছরের প্যাকেজ–১ এর তুলনায় খরচে কিছুটা কম হবে। তৃতীয় প্যাকেজটি থাকবে দূরবর্তী আজিজিয়া এলাকায়, যা হবে সবচেয়ে সাশ্রয়ী, এবং এতে আনুমানিক খরচ দাঁড়াতে পারে সাড়ে চার লাখ টাকার মতো।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ক্ষেত্রেও নতুনভাবে একটি সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, যার নিচে কোনো এজেন্সি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রেও খরচ চলতি বছরের তুলনায় কিছুটা কমবে।
বিমান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ধর্ম ও বিমান মন্ত্রণালয় সমঝোতায় পৌঁছেছে। চলতি বছরে বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। আলোচনার পর আগামী বছরের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে ১ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে, যা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া ১ হাজার ১০০ ডলার নির্ধারণে অনড় থাকলেও বিমান মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২০০ ডলার চেয়েছিল। অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। শুল্ক ও সিভিল এভিয়েশনের ফি আরও কমানো নিয়ে আলোচনা চলছে।
চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিলিয়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে গত দুই বছর বাংলাদেশের কোটা পূর্ণ হয়নি। সৌদি আরবের রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে। সে অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হজে যেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে। এর ভিত্তিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ২৭ জুলাই। প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।