০৭ আগস্ট ২০২৫
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ মাসব্যাপী এই সামরিক অভিযানে অংশ নেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর পাঁচটি ডিভিশন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার সমগ্র ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজার মতো জনবহুল এলাকায় এমন অভিযান পরিচালনা করলে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ, অভিযানের অংশ হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জেরুজালেম পোস্ট-কে জানান, এই পরিকল্পনা অনুমোদন নিয়ে তেমন দ্বিধা নেই; বরং প্রশ্ন হচ্ছে—উপস্থাপিত বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে কোনটি চূড়ান্ত হবে।
তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন আইডিএফের চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। তিনি মন্তব্য করেন, “এটি একটি বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। এর ফলে গাজায় যেসব মানুষ জিম্মি হয়ে আছে, তাদের জীবন চরম ঝুঁকিতে পড়বে।” যদিও তিনি পদত্যাগের মতো কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না বলেও জানান।
এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জেরুজালেমের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস থেকে কোনো সুপারিশ এলে পরিকল্পনায় তা প্রতিফলিত হতে পারে এবং বৃহস্পতিবারের বৈঠকেই বিষয়টি আলোচনা হবে।
এদিকে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “সরকার সহায়তা কার্যক্রমের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চায়।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি নিশ্চিত, ইসরায়েল আমাদের এই সহায়তা বিতরণে সহায়তা করবে। আরব দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, তারা অর্থসহ নানা সহায়তা দিতে রাজি।”
গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমার অগ্রাধিকার হলো—গাজার ক্ষুধার্ত মানুষদের খাওয়ানো। বাকি বিষয়গুলো ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত।”
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজ-কে বলেন, “এই অঞ্চলে শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হামাস। তারা গাজার শাসক হিসেবে কিংবা অন্য ভূমিকায় আর থাকতে পারে না।”
আন্তর্জাতিক মহলে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও নেতানিয়াহু সরকার হামাস নির্মূলে যুদ্ধে এবং সামরিক দখল—দুই পথেই অটল অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।