আগামীকাল ০৭ এপ্রিল সমগ্র বিশ্বের গ্লোবাল স্ট্রাইকের সাথে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হতে যাচ্ছে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ মিছিল। গাজায় চলমান বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব বিবেক যখন ফুঁসে উঠেছে, তখন উল্টো চিত্র দেখা গেল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান শিমুলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে।
শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ কর্মসূচী নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের কোনো এক প্রতিনিধিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে উক্ত শিক্ষিকা লেখেন,
“ওয়ার্নিং! আগামীকাল কেউ যদি ক্লাস মিস দিয়ে স্ট্রাইকে যেতে চাও, যেতে পারো। আমি তাকে ২টা অ্যাবসেন্ট দিব। সবাই না আসলে সবাই অ্যাবসেন্ট। আর এই টপিকে কেউ কাউন্সেলিং চাইতে আসবে না। জাস্ট এ ওয়ার্নিং ইন কেস ইউ কাম আপ উইথ দিস বুলশিট এক্সকিউজ।”
আরও পড়ুনঃ
মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া তার এই বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীরা একে সরাসরি ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য হিসেবে দেখছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ড্যাফোডিল শিক্ষিকার হুমকি বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলছেন। মানবিক ও রাজনৈতিক সংবেদনশীল এই বিষয়কে “এক্সকিউজ” হিসেবে অভিহিত করায় মর্মাহত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও ফোরামে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। অনেকেই মন্তব্য করছেন, “একজন শিক্ষক যদি সংবেদনশীল ধর্মীয় ও মানবিক বিষয়েও এইরকম অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তবে তার শিক্ষাদানের নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।”
ড্যাফোডিল শিক্ষিকার হুমকি বিষয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। শিক্ষার্থীদের চাপ ও ব্যাপক জনমতের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়াহয় কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়।