ঢাকায় প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক একটি কার্যালয় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ২৯ জুন (রোববার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (MoU) নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের আলোচনা শেষে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এই মিশনের একটি শাখা বাংলাদেশে চালু করতে চাচ্ছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর বিষয়টি এখন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।”
আইন উপদেষ্টা আরও জানান, উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য মিলে সমঝোতা স্মারকটি পর্যালোচনা করবেন এবং তা চূড়ান্ত করে জাতিসংঘে পাঠানো হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে MoU স্বাক্ষর হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই কার্যালয় চালুর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোতে আরও স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দক্ষ তদন্ত পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এ ধরনের কার্যালয় বিশ্বের ১৬টি দেশে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিন, কলম্বিয়া, সিরিয়া, মেক্সিকো, গিনি, লাইবেরিয়া, বুরকিনা ফাসো প্রভৃতি।
জাতিসংঘের মতে, এ ধরনের কার্যালয়ের উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা।
তিন বছর পূর্ণ হওয়ার পর উভয় পক্ষের সম্মতিতে কার্যালয়টির মেয়াদ নবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।