ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে, সরকার তৈরিকৃত পোশাক রপ্তানি এবং সার্বিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
গত বুধবার ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের ঢাকাস্থ হাইকমিশনার অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরগুলোর নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক রাখা হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২০২০ সালে ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রদান করেছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানির জন্য কলকাতা বন্দর, নবসেবা বন্দর ও কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছিল। তবে, বুধবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এক আদেশে এই সুবিধা বাতিল করে।